বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর
বিজ্ঞানের নানা মজার মজার সব ঘটনা আর মজার মজার সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে। অনেকেই নিশ্চয়ই স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে বিরাট বিজ্ঞানী হবে। তোমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়াতে আর নানা মজার মজার সব বিষয় জানাতেই স্থাপন করা হয়েছে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। এটি তখন ছিল শাইহবাগে, এখন যেখানে পাবলিক লাইব্রেরি আছে। আর তারপর জাদুঘরটির ঠিকানা অনেক বারই পাল্টেছে। শেষ পর্যন্ত স্থায়ী ঠিকানা পায় ১৯৮১ সালে। আগারগাওতে নিজস্ব জায়গায় নিজস্ব ভবনে থিতু হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। জাদুঘরটিতে এখন গ্যালারি আছে মোট ৫টি। প্রথমটি হলো ফিজিক্যাল সায়েন্স গ্যালারি। এই গ্যালারিতে আছে সিনেমাস্কোপ, শূন্যে ভাসা বল, কনভেক্স ও কনকেভ আয়নাসহ আরো অনেক মজার মজার বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয়। এছাড়া দুই মহান বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের ব্যবহৃত এক্স-রে টিউব আর ড. কুদরত-ই-খুদার ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্রও আছে এই গ্যালারিতে। পরেরটি হলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি গ্যালারি। এখানে আছে সেই কবেকার পরনো প্রিন্টিং মাশিন, অনেক আগের প্লেনের ইঞ্জিন, সাগরের গভীরতা মাপার যন্ত্র ইকোগ্রাফ, গ্রামোফোন, রাডার আর রাডার দিসপ্লে, কম্পাস, সোলার বিদ্যুতের প্যানেল, বলাকা বিমানের ইঞ্জিন আরো কতকিছু। তার পরের গ্যালারি হলো বায়োলজি গ্যালারি। এখানে আছে অ্যামিবার মডেল, ব্যাক্টেরিয়ার কোষের স্ট্রাকচার, একটা সংরক্ষণ করা গ্যাংগেটিক ডলফিন বা শুশুক, একটা নীল তিমির কঙ্কাল, অনেক পুরনো একটা গাছের ফসিল। আবার মানুষের মগজ, কিডনি, হৃৎপিন্ডের মডেলও আছে এখানে। চতুর্থ এবং পঞ্চম গ্যালারিটা জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগে খুলেছে। এটা হলো তথ্য প্রযুক্তি গ্যালারি। এই গ্যালারিতে আছে বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটার। বাংলাদেশের প্রথম কম্পুটার আইবিএম ১৬২০ ছাড়াও আইবিএম ১৪০১, হানিওয়েল ডিপিএস-৬, আইবিএম পিসিসহ বিভিন্ন প্রজন্মের আরো অনেক দেশের বিভিন্ন তরুণ বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন প্রজেক্ট। এছাড়াও জাদুঘরে তোমাদের জন্য একটি সাইন্স পার্কও আছে। এই পার্কটি শিশুদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এখানে তাদের জন্য আছে মিউজিক্যাল টিউব, আর্কিমিডিয়ামের স্ক্রু, সিম্প্যাথেটিক সুইং, সুইং পেন্ডুলামসহ আরো অনেক মজার মজার খেলার ব্যবস্থা।