BD Yellow Pages

চন্দ্রিমা উদ্যান


ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবনের পাশেই চন্দ্রিমা উদ্যান পার্কটি অবস্থিত। বর্তমানে অবশ্য এটি জিয়া উদ্যান উদ্যান হিসাবেও পরিচিত। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার এখানে অবস্থিত। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এই মাজার দেখতে আসেন। কেউ কেউ ব্যস্ত জীবনের অবসাদ ঘোচাতে একটু অবসর সময় কাটানোর জন্যও এখানে আসেন। ১৯৮১ সালে এই স্থানে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমাঙ্কে এখানে সমাধিস্থ করা হয় এবং এলাকাটিকে পরিস্কার করে দর্শনার্থীদের জন্য মনোরম স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হয়। শুরুতে এটির নামকরণ হয় চন্দ্রিমা উদ্যান। ১৯৮৩ সালে এখানে প্রথম রপ্তানি মেলার আসর বসে। তখন এখানে কোন গাছপালা ছিল না। বলতে গেলে এরশাদই পরবর্তী বছরগুলোতে এই পার্ককে মনোরম একটি এলাকা হিসাবে গড়ে তোলেন এবং রপ্তানি মেলার স্থান শেরে-বাংলানগরে অর্থাৎ এর পেছনের মাথে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময়ে মরহুম জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর চন্দ্রিমা উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে জিয়া উদ্যান নামকরণ করেন। এখন এই স্থানে কারো কাছে চন্দ্রিমা উদ্যান আবার কারো কাছে জিয়া উদ্যান নামে পরিচিত। সংসদ ভবনের পিছনে বিজয় স্বরণি এলাকায় বিশাল এলাকা জুড়ে এই উদ্যান। উদ্যান্টির প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছে মনোরম হ্রদ। হ্রদটির চারপাশে পাকা সিঁড়ি ও দর্শনার্থীদের বসার স্থান আর এতে বসানো হয়েছে কৃত্রিম ফোয়ারা এবং ভিতরে প্রবেশের জন্য মাঝখান দিয়ে তৈরি হয়েছে মনোরম সেতু। এখানে অবশ্য দুটি সেতু ছিলো এখন একটি দর্শনীয় সেতু স্থাপন করা হয়েছে যা সবার দৃষ্টি কাড়বে। উদ্যান জিড়ে রয়েছে বিপুল সংখ্যক নানা প্রজাতির গাছ এবং ঠিক মাঝখানে মাজারের অবস্থান। নিরাপত্তার জন্য এখানে সি সি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োযিত রয়েছে। মাজারটির পিছনে একটি মণরম মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। যেহেতু উদ্যানকে কেন্দ্র করে এখানে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে তাই এই এলাকায় দেখা যায় প্রচুর ভ্রাম্যমান হকার। চটপটি, ফুচকা, ঝাল্মুড়ি, বাদাম, ছোলা, আমড়া, চা, কফি, পান-সিগারেট, খেলনা ও কিছু কসমেটিকস বিক্রেতা হকারও এই আলাকায় দেখা যায়। শুক্রবার দিনটিতে এখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হয়াতে অনেকেই এই দিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে বেড়াতে আসেন। তবে বলে রাখা ভালো সন্ধ্যার পর এই চন্দ্রিমা উদ্যানে না থাকায় ভালো কেননা রাত বাড়লেই এখানে যৌনকর্মীদের বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া বাড়িতে যেসব ছেলে-মেয়েদের প্রেম করার স্বাধীনতা নেই সন্ধ্যায় তাদের বিচরণ লক্ষ্য করার মত। এখানে ঢুকতে কোন টিকিট কাটতে হয় না।