Sohrawardi Uddan
১৬১০ সালে মোঘল শাসনামলে ঢাকার নবাবগণ রমনা এলাকায় সুদৃশ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এক সময় রেসকোর্স ময়দান নামে পরিচিত ছিল।
অবস্থান
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঢাকার রমনা, শাহবাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
খোলা-বন্ধের সময়সূচী
সপ্তাহের প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে এই উদ্যান। এই উদ্যানে প্রবেশ করতে কোন প্রকার চার্জ দিতে হয় না। এছাড়া রাত দশটার পর উদ্যানে থাকা নিরাপদ নয়।
সময়ের সাথে পরিবর্তন
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেসব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা নিম্নরুপ-
ক) ১৬১০ সালে ঢাকার নবাবগণ রমনা এলাকায় এ সুদৃশ্য উদ্যানের সূচনা করেন।
খ) ১৬১০ থেকে ১৮২৪ সাল পর্যন্ত এর নাম ছিল বাগ-ই-বাদশাহী বা বাদশাহী বাগান।
গ) ১৯২৫ সালে এ স্থানটি ঘোড়দৌড়ের জন্য বিখ্যাত ছিল তাই এর নাম হয় রেসকোর্স ময়দান
ইতিহাসের সাক্ষী
ক) ১৯৪৮ সালে ২১ মার্চ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এ উদ্যানে/ ময়দানে ঘোষনা করেন উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।
খ) ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে এখানে “বঙ্গবন্ধু” উপাধি দেওয়া হয়।
গ) ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান এই উদ্যানের মাঠেই ঐতিহাসিক ভাষন দেন “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।
ঘ) ১৯৭১ সালের ২৫,২৬ ও ২৭ শে মার্চ এ উদ্যানের ভিতরে অবস্থিত। কালী মন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রমের সন্ন্যাসী ও অধিবাসীরা গনহত্যার শিকার হন ও মন্দিরের আশ্রম ধ্বংশ করা হয়।
ঙ) ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর এই ঐতিহাসিক ও ময়দানেই পাক বাহিনী ৯৩,০০০ হাজার সৈন্য নিয়ে যৌথবাহিনীর কাছে লিখত ভাবে আত্মসমর্পন করেন। পাক বাহিনীর পক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্ম সমর্পনের দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল নিয়াজী।
চ) ১৯৭১ সালে এই উদ্যানটির নামকরন করা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
ছ) ১৯৯৭ সালে এখানে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এখানে শিখা চিরন্তন স্থাপন করা হয়।
জ) ১৯৯৯ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্মৃতি জাদুঘর নির্মান কাজ শুরু করা হয়।
বর্তমান অবস্থা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বর্তমানে নানা রকম সংস্কার কাজ চলছে তম্মধ্যে উদ্যানের স্বাধীনতা স্মৃতি জাদুঘর, স্বাধীনতা মঞ্চ, শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও আমন্দময়ী আশ্রম পূনঃ সংস্কার, দিঘি সংস্কার, রাস্তা, মূল ফটক সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রবেশ ও বাহির
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল প্রবেশ পথ ছয়টি। যেমন-
ক) ইঞ্জিনিয়ারিং ইনষ্টিটিউশন সংলগ্ন গেইট।
খ) শিশু পার্ক ও শিখা চিরন্তন সংলগ্ন গেইট।
গ) চারুকলা ইনষ্টিটিউটের বিপরীতে অবস্থিত গেইট।
ঘ) টি.এস.সি সংলগ্ন গেইট।
ঙ) শ্রী শ্রী মা কালী আনন্দময়ী আশ্রম সংলগ্ন গেইট।
চ) বাংলা একাডেমীর বিপরীত ও তিন নেতার মাজার সংলগ্ন গেইট।
বেশী ভিড়
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে বেশী ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া ঈদ,পূজা ও পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে প্রচুর ভীড় হয়।
পার্কের প্রাঙ্গন সমূহ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরো অংশটিতে বিভিন্ন প্রাঙ্গন আছে। এখানে সব ধরনের মানুষ বেড়াতে আসে। পার্কের প্রত্যেকটি প্রাঙ্গনের বিশেষত্ব আছে। প্রাঙ্গনগুলো হল- বৃক্ষছায়া, বৃক্ষমায়া, বটতলা, চারু অঙ্গন, শিখা চিরন্তনি, আনন্দময়ী অঙ্গন, দীঘির পাড়, লালন চর্চা অঙ্গন, জাদুঘর অঙ্গন, লেক ভিউ, শতায়ু অঙ্গন।
সতর্কতা ও নিয়মাবলী
ক) রাত ১০ টার পর উদ্যানে প্রবেশ নিষেধ।
খ) উদ্যানে অসামাজিক কার্যকলাপ দন্ডনীয় অপরাধ।
গ) ভেতরে ধুমপান মুক্ত এলাকা। ধুমপান নিশেধ।
ঘ) গাছের পাতা ও ফুল ছেঁড়া নিষেধ।
ঙ) লেকের পানি ময়লা ফেলবেন না।
চ) নির্দিষ্ট ওয়াকওয়ে দিয়ে হাঁটু্ন।
Sohrawardi Uddan Contact
Address: | Spread on Ramna,Shahbag and Dhaka University area, Shahbag, Dhaka, Bangladesh. |
Time: | 6am To 10pm (Business hours / Bangladesh) |
BD Yellow Pages is a Business directory. We are trying to provide correct information collected from authentic sources, that updates yearly. But, we can not guarantee all information is accurate. So, do not make any transactions based on the provided information. Do validation and verification for your activity with your own responsibility. We do not have any relation with Sohrawardi Uddan and do not have any responsibility for this business or activity. Thank You.